জেএফএ কাপ (অর্নুধ ১৪)জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের ফাইনাল খেলায় লালমনিরহাট জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। শুক্রবার (১ এপ্রিল) রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় রাজশাহী জেলা মহিলা দলকে লালমনিরহাট জেলা মহিলা দল ১-০ গোলে পরাজিত করে। খেলার ২১মিনিটে লালমনিরহাট ডিএফএ দলের ১০ নম্বর জাসিধারী খেলোয়াড় লিভা আক্তার গোল করে দলকে এগিয়ে রাখেন।
পরে প্রতিপক্ষ রাজশাহী দল পুরো খেলায় গোল পরিশোধ করতে পারেনি। খেলায় লালমনিরহাট ডিএফএ জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়। এ র্টুনামেন্টে লিভা আক্তার র্সবোচ্চ গোলদাতা এবং সেরা খেলোয়াড় হিসেবে মৌসুমি মনোনীত হয়েছে। গত ২৫ মার্চ চুড়ান্ত পর্যায়ের খেলা রাজশাহীতে শুরু হয়। এ খেলায় দেশের ৮টি বিভাগের চ্যাম্পিয়ন ৮টি ফুটবল দল অংশ গ্রহন করে।
চ্যাম্পিয়ন লালমনিরহাট দলটি শনিবার দুপুরে ট্রেনযোগে লালমনিরহাটে পৌঁছলে জেলা প্রশাসন, লালমনিরহাট জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে খেলোয়াড়,কোর্চ ও,কর্মকতাদের ফুলের শুভেচ্চা, মিষ্টি বিতরন ও খাবার শেষে সম্বধনা প্রদান করা হয়। এর আগে গতমাসের ১৮মাচ দিনাজপুর ভেন্যুতে জেলা পর্যায়ের ফাইনাল খেলায় পঞ্চগড় জেলাকে-১-০গোলে হারিয়ে লালমনিরহাট চ্যাম্পিয়ন হয়। ২৫ মার্চ রাজশাহীতে দেশের ৮টি সেরা দল নিয়ে চুড়ান্ত পর্বের খেলা শুরু হয়। চুড়ান্ত পর্বের খেলায় ৮টি দল দুটি গ্রুপে লীগ পদ্ধতিতে ভাগ হয়ে খেলে।
পরে লালমনিরহাট জেলা মহিলা দল গ্রুপের সব দলকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়। লালমনিরহাটের লিভা আক্তার ,খুরশিদা ( অনুদ্ধ-১৭ ) ও মৌসুমি (অনুদ্ধ-১৪) ইউরোপ মহাদেশে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষনের জন্য মনোনিত হন। দলের ম্যানেজার আব্দুর রশিদ জানান, দলটি বাংলাদেশের সেরা হওয়ায় আমি ভীষন খুশি তবে দলের খেলোয়াড়রা পৃষ্টপোষতা পেলে আরো অনেক দুর এগিয়ে যেতে পারবে। দলের কোচ আনিছুর রহমান লাডলা ও ,সহকারী কোচ শরিফুল খুবই পরিশ্রম করেছে দলটিকে নিয়ে। দলের কোচ আনিছুর রহমান লাডলা জানান, বয়সভিক্তিক এই দলটি খুবই ব্যালেন্স। তাদের গড় বয়স ১২ থেকে ১৫ বছর।
শুক্রবার ফাইনাল খেলায় ৭টি খেলোয়াড় অসুস্থ থাকার পরও ওই অবস্থায় তারা চ্যালেন্জ নিয়ে মাঠে নেমেছে এবং জিতে দেশের সেরা হয়েছে। এই দলের লিভা,খুরশিদা এবং মৌসুমি ইউরোপে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষনের জন্য মনোনিত হয়েছেন। দলটিতে অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে। খেলোয়াড়দের সবার পরিবার আর্থিকভাবে অসচ্ছল। খেলোয়াড়গুলো পৃষ্টপোষকতা পেলে শুধু জেলা নয় তারা দেশের জন্য জন্য সুনাম বয়ে আনবে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু আহাদ খন্দকার লেনিন বলেন, দলটি ভালো খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
আমরা এই দলটিতে সহযোগিতা করে আরো উচু পর্যায়ের নিয়ে যেতে চেষ্টা কবর। জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি ইউনুস হোসেন বলেন, দলটি চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় শুধু জেলাবাসির জন্য গৌরবের বিষয় নয়।
এর আগেও আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। এই ধারাবাহিকতা আমরা ধরে রাখতে চাই। তবে এই দলটিকে ধরে রাখতে গেলে জেলা প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতার প্রয়োজন। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, দলটি খুবই ভালো। দলটিতে অনেক প্রতিভাবান খেলোযাড় রয়েছে। এই খেলোয়াড়রা দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষন পেলে আরো এগিয়ে যেতে পারবে। তাদের সহযোগিতা করা হবে